সমীক্ষা বলছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় আবারও ফিরছে বিজেপি, ইভিএমের কারচুপি নয়তো
পিএম নিউজ ৩৬৫ ডেক্স: মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় ভোট শেষে এই কৌতূহলটুকুই শুধু জিইয়ে রাখল বুথফেরত সমীক্ষা। দুই রাজ্যে চার ভাগের তিন ভাগ আসন পাবে বিজেপি জোট নাকি জয় হবে দুই-তৃতীয়াংশে? তা না হলে সব সমীক্ষাতেই স্পষ্ট, বিরোধীদের কুপোকাত করে নিজেদের গড় ধরে রাখছে বিজেপি। ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ও মনোহরলাল খট্টর। বৃহস্পতিবার আসল ফল প্রকাশ হলে অবশ্য দ্বিতীয় আর একটি কৌতূহলও মিটতে পারে। তবে এই সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধীদের সন্দেহ রয়েছে ইভিএম কারচুপি নিয়ে ! তাহলে কি আবার ইভিএম কারচুপি করেছে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে ভোটে ফলাফল বেরোনোর পরে বোঝা যাবে।
লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীর তিনশো পারের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও ছত্রভঙ্গ, কোন্দল নেতায়-নেতায়। তবে তুলনামূলকভাবে এবার ভোটদাতা সংখ্যা অনেক কম ।মহারাষ্ট্রে ৬৫ শতাংশ, হরিয়ানায় ৬১ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। আর হরিয়ানার ৯০ আসনে দরকার ৪৬। এবিপি নিউজ-সি ভোটার মোতাবেক, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট পাবে ২১০ আসন, কংগ্রেস-এনসিপি ৬৩ ও অন্যান্য ১৫। হরিয়ানায় বিজেপি ৭০, কংগ্রেস ৮, অন্য ১২। আবার ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিসের মতে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোট দখল করতে পারে ১৬৬ থেকে ১৯৪টি আসন। রিপাবলিক টিভির মতে, হরিয়ানায় বিজেপি ৫২ থেকে ৬৩টি আসন পেতে পারে। এবিপি নিউজ-সি ভোটার মোতাবেক মহারাষ্ট্রে এনডিএ জোট পাবে ৪৫.৩ শতাংশ ভোট, ইউপিএ পাবে ৩৫.৬ শতাংশ ভোট এবং অন্য দলগুলি পাবে ১৯.২ শতাংশ। হরিয়ানায় বিজেপি পাবে ৪২.৪ শতাংশ, কংগ্রেস ২৬ শতাংশ, জেপিপি জোট ১৯ শতাংশ ও অন্য দলগুলি ১২.৬ শতাংশ।
আসন সংখ্যার হিসেবে মোটের উপরে সকলের গড় ধরলে দাঁড়াচ্ছে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা ২১১, কংগ্রেস-এনসিপি ৬৪, বাকি ১৩। হরিয়ানায় বিজেপি ৬৬, কংগ্রেস ১৪, বাকি ১০। বুথফেরত সমীক্ষা যে অতীতে সবসময় মিলেছে, এমন নয়। তবু ভোটের চালচিত্রের একটি আভাস পাওয়া যায় এই ধরনের সমীক্ষায়।
আর এই আভাসই যদি আসল ফলের সঙ্গে মিলে যায় তা হলে শুধু দুই রাজ্যের দুর্গ ধরে রাখাই নয়, বিজেপি আরও কিছু মাইলফলক পেরোবে। যেমন পাঁচ বছর আগে দুই রাজ্যেই দুই ‘অচেনা’ মুখকে মুখ্যমন্ত্রী করে চমকে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। মহারাষ্ট্রে মরাঠা দাপট অগ্রাহ্য করে এক ব্রাহ্মণকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তাঁরা।
জাঠ অধ্যুষিত হরিয়ানায় আরএসএসের সদস্য খট্টরের মতো অ-জাঠকে কুর্সিতে বসানো হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন, পরীক্ষা সফল হবে না। কিন্তু ফল মিললে হবে।
বিজেপি বলছে, ‘‘কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। উভয়েই গরিবের উন্নয়ন করেছেন। তাই এটাই ফল হবে।’’ কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বক্তব্য, ‘‘বেকারত্ব, বেহাল অর্থনীতি ভুলিয়ে শুধু দেশপ্রেমের প্রচার করেছে বিজেপি। আসল বিষয়ে ভোট হল কোথায়?’’ বিজেপির প্রশ্ন, সংগঠনকে মজবুত করে ‘আসল’ বিষয়ে ভোট করতে কে বারণ করেছে কংগ্রেসকে?
তবে দেশ জুড়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে উন্নয়নের পালায় কিছু নাই তবুও ধর্মীয় জিকির বিজেপির জয়জয়াকার আগামী দিনে দেশের জন্য বড় ক্ষতিকর নয় তো।